চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের শশীভূষণ থানার রসূলপুর ইউনিয়নের কলেরহাট এলাকায় বাবাকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া নামজারী করে জমি হাতিয়ে নিতে বৃদ্ধবাবা জহিরুল হক (৭৫) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে। আহত বাবাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তার অপর দুই ছেলে হাফিজুর রহমান (৪০) আকতার হোসেন (৩০)কে মারধর করা হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওই ইউনিয়নের কলেরহাট বাজারের সোবহান বেপারীর মুদি দোকানের সামনে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহত দুই ছেলেসহ বৃদ্ধকে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় শশীভূষণ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে আহত বৃদ্ধার পরিবার সুত্রে জানাগেছে। গতকাল রোববার বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ জহিরুল হক জানান, তাকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামা দাখিল করে বড় ছেলে হযরত আলী তার ২৬ শতাংশ জমি নিজের নামে নামজারী করে নেন। সম্প্রতি এই নামজারী বাতিলের জন্য তিনি উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেছেন। তিনি নামজারী বাতিলের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বারবারে আবেদন কারার পর তার দুই ছেলে হযরত আলী এবং অপর ছেলে আবদুস সাত্তার তাকে নানান ভাবে চাপ দিতে থাকেন। উভয় পক্ষের বিরোধের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সোলাইমান হাওলাদারসহ স্থানীয়র ইউপি সদস্য এমদাদ হোসেন মিঠু দায়িত্ব নেন। কিন্ত মানিত সালিশদাররা বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য বৃদ্ধকে চাপ দেন। ঘটনার গত শনিবার সন্ধ্যায় পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এমদাদ হোসেন মিঠু অভিযোগ নিষ্পত্তির কথা বলে বৃদ্ধকে কলেরহাট বাজারের অফিসে ডেকে নেন। বৃদ্ধের অভিযুক্ত ছেলে হযরত আলী এবং অপর ছেলে আবদুস সাত্তার আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির নেতৃত্বে এই দুইছেলে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য বৃদ্ধ বাবাকে চাপ দেন। কিন্ত তিনি অভিযোগ প্রত্যাহারে অস্বাীকার করায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলাইমান হাওলাদারের ইন্দনে দুইছেলে হযরত আলী ও সাত্তার তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। খবর পেয়ে তার (বৃদ্ধের) অপর দুই ছেলে হাফিজুর রহমান ও আকতার হোসেন আহত বাবাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা আহত বাবা ও দুই ছেলে হাফিজুর রহামন ও আকতার হোসেনকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হসপাতালে ভর্তি করেন। বৃদ্ধ জহিরুল হক আরো জানান, তিনি এবং তার দুই ছেলে হামলাকারীদের মারধরে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের হামলাকারী অভিযুক্ত তার দুই ছেলে হযতর আলী ও সাত্তারের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে তারা তাদেরকে বাধা দেন।এবং জোরপুর্বব ধরে এনে স্থানীয় কলেরহাট বাজারে আটকে রাখেন। পরে তারা পালিয়ে এসে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অভিযুক্ত ছেলে হযরত আলী ও আবদুস সাত্তার এ ব্যাপাওে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সোলাইমান হাওলাদার জানান, আমার ইন্দনে হামলার বিষয়টি সঠিক নয়। পূর্বেই বাবা ও দুই ছেলের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, সমোঝতার জন্য উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। তবে আমি আসার আগেই তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply